সম্ভবত এই কারনেই স্পেনীয় হানার প্রতিরোধ করে
মায়ারা আরো জঙ্গলে আত্মগোপন করেছিলো।এই মহামারীর ভয়েই মায়ারা বাইরের সমাজে
মেলামেশা করত না,নিজেদের গন্ডীর বাইরে পা বাড়াতো না।স্পেনীশদের সংগে আসা
বসন্ত রোগ ছড়িয়ে পড়েছিলো মায়াদের
মধ্যে।তবে মায়ারাও স্পেনীয়দের সংগে সিফিলিসের পরিচয় করিয়ে দিয়ে এক অর্থে
প্রতিশোধই নিয়েছিলো।যা অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ছড়িয়েছিল ইউরোপ ও এশিয়ায়।
সাম্প্রতিককালে মায়া মমির ডাক্তারি পরীক্ষা করে দেখা গেছে ,বহু মায়াজনপদধ্বংস হয়েছিলো বিভিন্ন রোগের আক্রমনে।এর মধ্যে বিজ্ঞানীদের ধারনাযৌন রোগই প্রধান।এই পরীক্ষার ফল জানার পর কিছু মার্কিন বিশেষজ্ঞরা তত্ত্ব খাড়া করেছেন যে,অসুখ বিসুখই মায়া সভ্যতার পতনের কারন।কিন্তু ইতিহাস পড়ুয়ারা জানেন,মধ্য ও দক্ষিন আমেরিকার আজটেক সহ অন্যান্য অধিবাসীদের মধ্যে যৌন রোগের যথেষ্ঠ প্রকোপ ছিল।কিন্তু তারা এসবের মধ্যেই ঘর বাধতে অভ্যস্ত ছিল।এই রোগে তারা নির্বংশও হয়নি।তাহলে শুধুমায়া জনপদেই এই রোগ এত ভয়ংকর হয়ে দেখা দিয়েছিলো কেন?
৭০০-১০০০ খ্রীষ্টাব্দকালে টোলটেক ও আজটেকরা মায়াদের সংস্পর্শে আসতে শুরু করে।অদ্ভুত ব্যাপার ঠিক ওই সময়েই একের পর এক মায়া জনপদ রহস্যজনকভাবে জনমানবশূন্য হতে থাকে।টোলটেক ও আজটেকদের কাছে যা ছিলো সাধারন রোগ,তাকে মায়াদের এত ভয় পাওয়ার কারন কি?কিছু কিছু বিশেষজ্ঞদের ধারনা মায়ার মধ্য আমেরিকা বা এই পৃথিবীর অধিবাসী নয়।সেই কারনেই এই গ্রহের রোগ জীবানু প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তাদের শরীরে ছিলো না।মানুষের সংস্পর্শে আসা মানেই,নতুন রোগের সংক্রমন,ফলে মহামারীর আশঙ্কা।এই বিপদ সম্পর্কে আশঙ্কা বা সচেতনতাই মায়াদের প্রতিবেশীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে বাধ্য করেছিলো
প্রাচীন মায়া ঐতিহ্য ও প্রতিবেশী জনগোষ্ঠীর কিংবদন্তীতে এমন অনেক প্রমান রয়েছে যে,সংক্রামক রোগের বিপদসম্পর্কে মায়ারা যথেষ্ট সচেতন ছিল।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান উন্নত জ্ঞানও প্রযুক্তি সম্পন্ন মায়ারা প্রতিবেশী জনগোষ্ঠীর কাছে দেবতা বা মহাপ্রভুর আসন পেয়েছিল।আমেরিকার আদিম জনগোষ্ঠীগুলির কিংবদন্তীতে পাওয়া যায়,এই ‘দেবতা’ তাদের উন্নত করেছিল।কিন্তু ‘দেবতারা’ আহার্য্য গ্রহন করতেন না।তাঁরা যখন দেখা দিতেন তখন তাঁদের মাথায় থাকত শিরস্ত্রান এবং পরনে অদ্ভুত পোষাক যাতে সংক্রামক রোগ তাদের আক্রমন করতে না পারে।
মায়াপুরানে রয়েছে ‘সোনালী সাদা বজরা দানা থেকে ঈশ্বর নিখুঁত মানুষ গড়লেন।তারা চোখ মেলতেই পৃথিবী দেখতেপেল।তাদের দৃষ্টিপথে,সুদূর আকাশ থেকে পাতাল পর্যন্ত দৃশ্যমান হল।কোনস্থান পরিবর্তন ছাড়াই তাদের গোটা পৃথিবী দেখার ক্ষমতা ছিল।মহত্ ঞ্জানের অধিকারী হয়ে তারা নদী,নালা,পর্বত,সমুদ্র ও অরন্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।তারা ছিল যাযাবর।এরাই আমাদের পূর্বপুরুষ।’
এত কিছুর পরও একটা অমীমাংসিত থেকেই যাচ্ছে। কারা এই অতিমানব সৃষ্টি করেছিল?এরা কি মহাশূন্য থেকে আসা বীজ থেকে সৃষ্টিজাত?মায়ালিপির সম্পূর্ন পাঠোদ্ধার হলে হয়তো এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে।আর্ন্তনাক্ষত্রিক অভিযাত্রীরাযে পৃথিবীতে এসেছিলেন মায়াপুরানে যেন সেই ইঙ্গিতই রয়েছে।পোপালভূতে রয়েছে,’তারা সর্বজ্ঞানী ছিলেন।তারা মহাকাশের চর্তুদিক পর্যবেক্ষন করেছিলেন।সেখান থেকেই গোলাকার পৃথিবীকে নিরীক্ষন করেছিলেন।’এই রহস্যময় জাতির পুরান,সংস্কৃতি,চিকিত্সা বিঙান সবকিছুতেই যেন বহির্বিশ্বের ছোঁয়া।গুয়েতেমালা থেকে শুরু করে উত্তর মধ্য আমেরিকা,এশিয়ায় যে মায়া আবেশ ছড়িয়েছে তার উত্স যেন সত্যি হেথা নয়,অন্য কোথাও,অন্য কোনোখানে।
সাম্প্রতিককালে মায়া মমির ডাক্তারি পরীক্ষা করে দেখা গেছে ,বহু মায়াজনপদধ্বংস হয়েছিলো বিভিন্ন রোগের আক্রমনে।এর মধ্যে বিজ্ঞানীদের ধারনাযৌন রোগই প্রধান।এই পরীক্ষার ফল জানার পর কিছু মার্কিন বিশেষজ্ঞরা তত্ত্ব খাড়া করেছেন যে,অসুখ বিসুখই মায়া সভ্যতার পতনের কারন।কিন্তু ইতিহাস পড়ুয়ারা জানেন,মধ্য ও দক্ষিন আমেরিকার আজটেক সহ অন্যান্য অধিবাসীদের মধ্যে যৌন রোগের যথেষ্ঠ প্রকোপ ছিল।কিন্তু তারা এসবের মধ্যেই ঘর বাধতে অভ্যস্ত ছিল।এই রোগে তারা নির্বংশও হয়নি।তাহলে শুধুমায়া জনপদেই এই রোগ এত ভয়ংকর হয়ে দেখা দিয়েছিলো কেন?
৭০০-১০০০ খ্রীষ্টাব্দকালে টোলটেক ও আজটেকরা মায়াদের সংস্পর্শে আসতে শুরু করে।অদ্ভুত ব্যাপার ঠিক ওই সময়েই একের পর এক মায়া জনপদ রহস্যজনকভাবে জনমানবশূন্য হতে থাকে।টোলটেক ও আজটেকদের কাছে যা ছিলো সাধারন রোগ,তাকে মায়াদের এত ভয় পাওয়ার কারন কি?কিছু কিছু বিশেষজ্ঞদের ধারনা মায়ার মধ্য আমেরিকা বা এই পৃথিবীর অধিবাসী নয়।সেই কারনেই এই গ্রহের রোগ জীবানু প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তাদের শরীরে ছিলো না।মানুষের সংস্পর্শে আসা মানেই,নতুন রোগের সংক্রমন,ফলে মহামারীর আশঙ্কা।এই বিপদ সম্পর্কে আশঙ্কা বা সচেতনতাই মায়াদের প্রতিবেশীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে বাধ্য করেছিলো
প্রাচীন মায়া ঐতিহ্য ও প্রতিবেশী জনগোষ্ঠীর কিংবদন্তীতে এমন অনেক প্রমান রয়েছে যে,সংক্রামক রোগের বিপদসম্পর্কে মায়ারা যথেষ্ট সচেতন ছিল।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান উন্নত জ্ঞানও প্রযুক্তি সম্পন্ন মায়ারা প্রতিবেশী জনগোষ্ঠীর কাছে দেবতা বা মহাপ্রভুর আসন পেয়েছিল।আমেরিকার আদিম জনগোষ্ঠীগুলির কিংবদন্তীতে পাওয়া যায়,এই ‘দেবতা’ তাদের উন্নত করেছিল।কিন্তু ‘দেবতারা’ আহার্য্য গ্রহন করতেন না।তাঁরা যখন দেখা দিতেন তখন তাঁদের মাথায় থাকত শিরস্ত্রান এবং পরনে অদ্ভুত পোষাক যাতে সংক্রামক রোগ তাদের আক্রমন করতে না পারে।
মায়াপুরানে রয়েছে ‘সোনালী সাদা বজরা দানা থেকে ঈশ্বর নিখুঁত মানুষ গড়লেন।তারা চোখ মেলতেই পৃথিবী দেখতেপেল।তাদের দৃষ্টিপথে,সুদূর আকাশ থেকে পাতাল পর্যন্ত দৃশ্যমান হল।কোনস্থান পরিবর্তন ছাড়াই তাদের গোটা পৃথিবী দেখার ক্ষমতা ছিল।মহত্ ঞ্জানের অধিকারী হয়ে তারা নদী,নালা,পর্বত,সমুদ্র ও অরন্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।তারা ছিল যাযাবর।এরাই আমাদের পূর্বপুরুষ।’
এত কিছুর পরও একটা অমীমাংসিত থেকেই যাচ্ছে। কারা এই অতিমানব সৃষ্টি করেছিল?এরা কি মহাশূন্য থেকে আসা বীজ থেকে সৃষ্টিজাত?মায়ালিপির সম্পূর্ন পাঠোদ্ধার হলে হয়তো এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে।আর্ন্তনাক্ষত্রিক অভিযাত্রীরাযে পৃথিবীতে এসেছিলেন মায়াপুরানে যেন সেই ইঙ্গিতই রয়েছে।পোপালভূতে রয়েছে,’তারা সর্বজ্ঞানী ছিলেন।তারা মহাকাশের চর্তুদিক পর্যবেক্ষন করেছিলেন।সেখান থেকেই গোলাকার পৃথিবীকে নিরীক্ষন করেছিলেন।’এই রহস্যময় জাতির পুরান,সংস্কৃতি,চিকিত্সা বিঙান সবকিছুতেই যেন বহির্বিশ্বের ছোঁয়া।গুয়েতেমালা থেকে শুরু করে উত্তর মধ্য আমেরিকা,এশিয়ায় যে মায়া আবেশ ছড়িয়েছে তার উত্স যেন সত্যি হেথা নয়,অন্য কোথাও,অন্য কোনোখানে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন