অ্যাজটেকরা
ভারতীয় ব্রাহ্মণদের মতেই বিশ্বাস করত মহাবৈশ্বিক যুগবিভাগে । অ্যাজটেক
পুরোহিতদের মতে মহাবৈশ্বিক যুগ সর্বমোট পাঁচটি; এবং একেক যুগের একেক দেবতার
শাসন। আমরা যে সময়টার কথা বলছি, অর্থাৎ সেই ষোড়শ শতাব্দীর অ্যাজটেকরা বিশ্বাস করতে যে তারা বাস করছে পঞ্চমযুগে । তো, পঞ্চম যুগের বৈশিষ্ট্য কি?
ধংস!
সত্যিই কি তাই?
আমরা জানি ঐ ষোড়শ শতকেই অ্যাজটেক সভ্যতা ধ্বংস করেছিল হেরনান করতেস! সে ছিল এক স্প্যানিশ লুটেরা। লোকে তাকে হেরনান্দো কোরতেজও বলে। তো, স্পেনে মেদেলিন বলে এক জায়গা আছে। সেখানেই ১৪৮৫ সালে লোকটার জন্ম। সালামানকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন পড়েছিল নাকি! ১৯ বছর বয়েসে স্পেন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসে। হিসপানিওয়ালা দ্বীপে। সে সময় আরেক স্প্যানিশ লুটেরা দিয়াগো ভেলাজকোয়েস কিউবা দখলের উদ্যেগ করছিল । কোরতেজ তার সঙ্গে যোগ দেয়।
কিউবা পৌঁছে করতেস মেসোআমেরিকার ধনসম্পদের কথা শোনে। তখনই মেসোআমেরিকার অভিযানের পরিকল্পনা করেন। ১৫১৯ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে জাহাজ ভাসায়। ১১ টি জাহাজ। ১১০ নাবিক। ৫৫৩ জন সৈন্য। এদের ১৩ জনের হাতে হ্যান্ডগান, ৩২ জনের হাতে ক্রশবো। ১০টি ভারী কামান, ৪টি হাল্কা কামান, এবং ১৬টি ঘোড়া। ভাসিয়ে মেক্সিকো উপসাগর পৌঁছে।
মেক্সিকো উপসাগর। জাহাজ থামিয়ে নৌকা করে পাড়ে নামেন-এখন যেটি ভেরাক্রজ শহর-সেখানে। সৈন্যরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য নৌকাগুলি ধ্বংস করে দিলেন কোরতেজ।
তারপর টেনোকটিটলান নগরের পথে রওনা হল সে।
অ্যাজটেক সম্রাট তখন ২য় মোকতেযুমা । তিনি সবই জানতেন। তিনি সৈন্য পাঠিয়ে লুটেরা কোরতেজ কে বাধা দেননি। কেন? কারণ ...মনে থাকার কথা প্রথম পর্বে আমি একটি অ্যাজটেক উপকথা বলেছিলাম ... দেবতা কুয়েটজালকোয়াটল দেখতে ছিল লম্বা, শ্বেতকায় আর দাড়িওলা। সে দেবতা অ্যাজটেকদের শিখিয়েছিল কি করে কৃষিকাজ ধাতুর কাজ আর রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়। দেবতা কুয়েটজালকোয়াটল বলেছিল, আমি আবার ফিরে আসব। বলে পূর্বসমুদ্রে মিলিয়ে ...অনেক বছ র পর স্প্যানিশ লুটেরা। হেরনান্দো কোরতেজ এলে অ্যাজটেকরা বাধা দেয়নি। এভাবে উপকথা একটি সমৃদ্ধশালী সভ্যতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ...
তদুপুরি সম্রাট ২য় মোকতেযুমা জানতেন যে তারা বাস করছে পঞ্চমযুগে । যে পঞ্চম যুগের বৈশিষ্ট্য ধংস!
যা হোক। স্প্যানিশ লুঠেরা কর্তৃক ইনকাদের ধ্বংসকাহিনী শুনে খারাপ লেগেছিল।
অ্যাজটেকদের জন্য অতটা খারাপ লাগল না।
কেন?
ঐ নরবলির জন্যই।
অ্যাজটেকদের সবই ভালো; কেবল ঐ নরবলির ব্যাপারটা ...বছরে কুড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার নরকে বলি দিত ...
শাসন। আমরা যে সময়টার কথা বলছি, অর্থাৎ সেই ষোড়শ শতাব্দীর অ্যাজটেকরা বিশ্বাস করতে যে তারা বাস করছে পঞ্চমযুগে । তো, পঞ্চম যুগের বৈশিষ্ট্য কি?
ধংস!
সত্যিই কি তাই?
আমরা জানি ঐ ষোড়শ শতকেই অ্যাজটেক সভ্যতা ধ্বংস করেছিল হেরনান করতেস! সে ছিল এক স্প্যানিশ লুটেরা। লোকে তাকে হেরনান্দো কোরতেজও বলে। তো, স্পেনে মেদেলিন বলে এক জায়গা আছে। সেখানেই ১৪৮৫ সালে লোকটার জন্ম। সালামানকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন পড়েছিল নাকি! ১৯ বছর বয়েসে স্পেন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসে। হিসপানিওয়ালা দ্বীপে। সে সময় আরেক স্প্যানিশ লুটেরা দিয়াগো ভেলাজকোয়েস কিউবা দখলের উদ্যেগ করছিল । কোরতেজ তার সঙ্গে যোগ দেয়।
কিউবা পৌঁছে করতেস মেসোআমেরিকার ধনসম্পদের কথা শোনে। তখনই মেসোআমেরিকার অভিযানের পরিকল্পনা করেন। ১৫১৯ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে জাহাজ ভাসায়। ১১ টি জাহাজ। ১১০ নাবিক। ৫৫৩ জন সৈন্য। এদের ১৩ জনের হাতে হ্যান্ডগান, ৩২ জনের হাতে ক্রশবো। ১০টি ভারী কামান, ৪টি হাল্কা কামান, এবং ১৬টি ঘোড়া। ভাসিয়ে মেক্সিকো উপসাগর পৌঁছে।
মেক্সিকো উপসাগর। জাহাজ থামিয়ে নৌকা করে পাড়ে নামেন-এখন যেটি ভেরাক্রজ শহর-সেখানে। সৈন্যরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য নৌকাগুলি ধ্বংস করে দিলেন কোরতেজ।
তারপর টেনোকটিটলান নগরের পথে রওনা হল সে।
অ্যাজটেক সম্রাট তখন ২য় মোকতেযুমা । তিনি সবই জানতেন। তিনি সৈন্য পাঠিয়ে লুটেরা কোরতেজ কে বাধা দেননি। কেন? কারণ ...মনে থাকার কথা প্রথম পর্বে আমি একটি অ্যাজটেক উপকথা বলেছিলাম ... দেবতা কুয়েটজালকোয়াটল দেখতে ছিল লম্বা, শ্বেতকায় আর দাড়িওলা। সে দেবতা অ্যাজটেকদের শিখিয়েছিল কি করে কৃষিকাজ ধাতুর কাজ আর রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়। দেবতা কুয়েটজালকোয়াটল বলেছিল, আমি আবার ফিরে আসব। বলে পূর্বসমুদ্রে মিলিয়ে ...অনেক বছ র পর স্প্যানিশ লুটেরা। হেরনান্দো কোরতেজ এলে অ্যাজটেকরা বাধা দেয়নি। এভাবে উপকথা একটি সমৃদ্ধশালী সভ্যতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ...
তদুপুরি সম্রাট ২য় মোকতেযুমা জানতেন যে তারা বাস করছে পঞ্চমযুগে । যে পঞ্চম যুগের বৈশিষ্ট্য ধংস!
যা হোক। স্প্যানিশ লুঠেরা কর্তৃক ইনকাদের ধ্বংসকাহিনী শুনে খারাপ লেগেছিল।
অ্যাজটেকদের জন্য অতটা খারাপ লাগল না।
কেন?
ঐ নরবলির জন্যই।
অ্যাজটেকদের সবই ভালো; কেবল ঐ নরবলির ব্যাপারটা ...বছরে কুড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার নরকে বলি দিত ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন