একটি অ্যাজটেক উপকথায় রয়েছে: দেবতা
কুয়েটজালকোয়াটল দেখতে ছিল লম্বা, শ্বেতকায় আর দাড়িওলা। তো সে দেবতা
অ্যাজটেকদের শিখিয়েছিল কৃষিকাজ, ধাতুর কাজ আর কি করে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে
হয়। এরপর দেবতা কুয়েটজালকোয়াটল পূর্বসমুদ্রে
মিলিয়ে গিয়েছিল। যাওয়ার আগে দেবতা কুয়েটজালকোয়াটল বলেছিল, আমি আবার ফিরে
আসব। অনেক...অনেক বছর পর পূর্বসমুদ্রে স্প্যানিশ লুটেরা হেরনান্দো কোরতেজ
এলে অ্যাজটেকরা কোরতেজকে বাধা দেয়নি। অ্যাজটেকরা লম্বা, শ্বেতকায় আর
দাড়িওলা হেরনান্দো কোরতেজই ভেবেছিল দেবতা কুয়েটজালকোয়াটল... এভাবেই উপকথাটি
একটি সমৃদ্ধশালী সভ্যতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ...
তো, অ্যাজটেক কারা এবং তারা বাস করত কোথায়?
অ্যাজটেক সভ্যতা হল মেসোআমেরিকার সভ্যতা। এখন মেসোআমেরিকার মানে ব্যাখ্যা করি। মেসোআমেরিকার মানে কলম্বাসপূর্ব সময়ের মধ্যআমেরিকার অংশ -যেখানে মায়া অ্যাজটেক প্রভৃতি সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এ কারণেই মেক্সিকোর অ্যাজটেক সভ্যতা মেসোআমেরিকার অর্ন্তগত।
অ্যাজটেকদের আদি ইতিহাস অনেকটা মুসা নবীর কাহিনীর সঙ্গে মিলে যায়। অ্যাজটেকরা অনেক আগে ‘অ্যাজটলান’ নামক স্থানে বাস করত। জায়গাটি মেক্সিকোর উপত্যকার উত্তরে। অনেকে বলে ঘটনাটি সত্য নয়-উপকথা মাত্র। কেননা, অ্যাজটলান শব্দটার অর্থই ‘প্লেস অভ দ্য অরিজিন’। অ্যাজটেক টার্মটা ব্যবহার করেছেন জার্মান প্রকৃতিবিদ ও আবিস্কারক আলেকজান্দার ফন হামবল্ডট । এর মানে: ‘যে অ্যাজটলান থেকে এসেছে।’ যা হোক, অ্যাজটেক উপকথা অনুযায়ী, অ্যাজটলান এ ৭টি অ্যাজটেক ট্রাইব ছিল; এবং তাদের নির্যাতন নিষ্পেষনের মধ্যে বাস করতে হত। কাজেই ওদের দক্ষিণে না পালিয়ে উপায় ছিল না। সময়টা ৬ শতাব্দী। অ্যাজটেকরা ওদের পুরোহিতের নেতৃত্বে যাত্রা করে (এক্সোডাস?)।
প্রায় ৮০০ বছর অ্যাজটেকরা ছিল যাযাবর শিকারী ও খাদ্যসংগ্রহকারী। এসময়ে অ্যাজটেকরা স্থানীয় কালচারের সংস্পর্শে আসল। এভাবে অ্যাজটেক কালচার তৈরি হয়। অ্যাজটদের ভাষা ছিল নাহুয়াটাল। ভাষার আদি রুপটি ছিল বর্ণমালা আর পিকটোগ্রাফ। দুটো শব্দ এখনও ব্যবহার করি। টমাটো ও চকোলেট।
যা হোক। এরপর তারা মধ্য মেক্সিাকোয় আসে।
১৪শ’ শতাব্দীতে অ্যাজটেকরা প্রথম মেক্সিকো উপত্যকায় আগ্নেয় পাহাড়ঘেরা সমভূমির মাঝে আসে, জায়গাটিতে তারা পাঁচ পাঁচটি হ্রদ দেখতে পায়। অন্যতম টেক্সকোকো হ্রদ।
পুরোহিত হাত তুলে সবাইকে থামতে বলল। তারপর চেঁচিয়ে বলল, এই সেই প্প্রতিশ্রুত স্থান।
কি প্রতিশ্রুত স্থান?
খুলেই বলি। অ্যাজটেকদের দেবতা হুইটজিলোপকটলি। সে দেবতা এককালে অ্যাজটেকদের বলেছিল, যে স্থানে একটি ঈগলকে ক্যাটটাসের শাখায় বসে সাপ খেতে দেখবে সেখানে যেন তাদের নগর নির্মাণ করে। টেক্সকোকো হ্রদের জলাভূমিটিকে কাছে তারা একটি ঈগলকে ক্যাটটাসের শাখায় বসে সাপ খেতে দেখেছিল কিনা বলতে পারি না তবে অ্যাজটেকরা জায়গাটিকে স্থায়ী আবাস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বেছে নেয়; সেই সঙ্গে হ্রদের মাঝে ছোট্ট একটি দ্বীপে নিজেদের জন্য নগর গড়ে তোলে। সেই নগরটিই বিস্ময়কর অ্যাজটেক রাজধানী টেনোকটিটলান। যে নগর নিয়ে বিশ্বের মানুষের কৌতূহল আজও কাটেনি।
টেনোকটিটলান নগরটির বিস্তার ছিল ১৩ কিলোমিটার; দ্বীপে অবস্থিত বলে মূলভূমি সঙ্গে নগরটির অনেকগুলিসংযোগ সেতু ছিল । বাঁধও নির্মান করেছিল অ্যাজটেকরা।
তো, অ্যাজটেক কারা এবং তারা বাস করত কোথায়?
অ্যাজটেক সভ্যতা হল মেসোআমেরিকার সভ্যতা। এখন মেসোআমেরিকার মানে ব্যাখ্যা করি। মেসোআমেরিকার মানে কলম্বাসপূর্ব সময়ের মধ্যআমেরিকার অংশ -যেখানে মায়া অ্যাজটেক প্রভৃতি সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এ কারণেই মেক্সিকোর অ্যাজটেক সভ্যতা মেসোআমেরিকার অর্ন্তগত।
অ্যাজটেকদের আদি ইতিহাস অনেকটা মুসা নবীর কাহিনীর সঙ্গে মিলে যায়। অ্যাজটেকরা অনেক আগে ‘অ্যাজটলান’ নামক স্থানে বাস করত। জায়গাটি মেক্সিকোর উপত্যকার উত্তরে। অনেকে বলে ঘটনাটি সত্য নয়-উপকথা মাত্র। কেননা, অ্যাজটলান শব্দটার অর্থই ‘প্লেস অভ দ্য অরিজিন’। অ্যাজটেক টার্মটা ব্যবহার করেছেন জার্মান প্রকৃতিবিদ ও আবিস্কারক আলেকজান্দার ফন হামবল্ডট । এর মানে: ‘যে অ্যাজটলান থেকে এসেছে।’ যা হোক, অ্যাজটেক উপকথা অনুযায়ী, অ্যাজটলান এ ৭টি অ্যাজটেক ট্রাইব ছিল; এবং তাদের নির্যাতন নিষ্পেষনের মধ্যে বাস করতে হত। কাজেই ওদের দক্ষিণে না পালিয়ে উপায় ছিল না। সময়টা ৬ শতাব্দী। অ্যাজটেকরা ওদের পুরোহিতের নেতৃত্বে যাত্রা করে (এক্সোডাস?)।
প্রায় ৮০০ বছর অ্যাজটেকরা ছিল যাযাবর শিকারী ও খাদ্যসংগ্রহকারী। এসময়ে অ্যাজটেকরা স্থানীয় কালচারের সংস্পর্শে আসল। এভাবে অ্যাজটেক কালচার তৈরি হয়। অ্যাজটদের ভাষা ছিল নাহুয়াটাল। ভাষার আদি রুপটি ছিল বর্ণমালা আর পিকটোগ্রাফ। দুটো শব্দ এখনও ব্যবহার করি। টমাটো ও চকোলেট।
যা হোক। এরপর তারা মধ্য মেক্সিাকোয় আসে।
১৪শ’ শতাব্দীতে অ্যাজটেকরা প্রথম মেক্সিকো উপত্যকায় আগ্নেয় পাহাড়ঘেরা সমভূমির মাঝে আসে, জায়গাটিতে তারা পাঁচ পাঁচটি হ্রদ দেখতে পায়। অন্যতম টেক্সকোকো হ্রদ।
পুরোহিত হাত তুলে সবাইকে থামতে বলল। তারপর চেঁচিয়ে বলল, এই সেই প্প্রতিশ্রুত স্থান।
কি প্রতিশ্রুত স্থান?
খুলেই বলি। অ্যাজটেকদের দেবতা হুইটজিলোপকটলি। সে দেবতা এককালে অ্যাজটেকদের বলেছিল, যে স্থানে একটি ঈগলকে ক্যাটটাসের শাখায় বসে সাপ খেতে দেখবে সেখানে যেন তাদের নগর নির্মাণ করে। টেক্সকোকো হ্রদের জলাভূমিটিকে কাছে তারা একটি ঈগলকে ক্যাটটাসের শাখায় বসে সাপ খেতে দেখেছিল কিনা বলতে পারি না তবে অ্যাজটেকরা জায়গাটিকে স্থায়ী আবাস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বেছে নেয়; সেই সঙ্গে হ্রদের মাঝে ছোট্ট একটি দ্বীপে নিজেদের জন্য নগর গড়ে তোলে। সেই নগরটিই বিস্ময়কর অ্যাজটেক রাজধানী টেনোকটিটলান। যে নগর নিয়ে বিশ্বের মানুষের কৌতূহল আজও কাটেনি।
টেনোকটিটলান নগরটির বিস্তার ছিল ১৩ কিলোমিটার; দ্বীপে অবস্থিত বলে মূলভূমি সঙ্গে নগরটির অনেকগুলিসংযোগ সেতু ছিল । বাঁধও নির্মান করেছিল অ্যাজটেকরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন